ইতালির উত্তরাঞ্চল শহর গুলোতে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। ওই অঞ্চলে মোট ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫২৫ জন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানী রোমে যারা আসছেন, তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত মিলানো নগরীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। সেখানে স্কুল কলেজ এবং অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সুপার মার্কেট গুলোতে অধিবাসীদের ব্যাপক কেনাকাটার কারণে এখন খালি পড়ে আছে। গত ৩১ জানুয়ারি চীন থেকে আসা ২ পর্যটকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। ওই দুইজন এখন সুস্থ হলেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্যান্য শহরগুলোতে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই সংকট মোকাবেলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। ইতালির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ সুস্থ হচ্ছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে জরুরী বিভাগ বা হসপিটালে না গিয়ে, ১৫০০ অথবা ১১২ নাম্বারে কল করার অনুরোধ জানিয়েছে। ইতালিতে বসবাসরত প্রায় দুই লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানী রোমে কমিউনিটি নেতা মুক্তিযুদ্ধা মাহতাব হোসেন এবং ইতালি আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত না হয়ে সর্তকতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে, বাসায় এবং বাইরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।‘ যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুত টোল ফ্রি নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান কমিউনিটি নেতারা।
Leave a Reply