ডেস্ক রিপোর্টঃ ইতালীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের পরিমান বেশি থাকলেও মৃত্যুর পরিমান কম। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ইতালীতে লকডাউন শুরু। প্রথম লকডাউন শিথিল করলে মানুষ স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললেও দ্বিতীয় লকডাউনে মানুষ কমক্ষেত্র ও অর্থনৈতিক ভাবে অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুীন। ইতালীতে বসবাসরত বাংলাদেশীরা নানা পেশায় নিয়োজিত। করোনার কারনে প্রায় খাতেই অর্থনীতির ধস নেমে আসে। ইতালীর বন্দর নগরী নাপলী, যেখানে প্রায় ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশীর বসবাস।
নাপলী ও আশপাশ অঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম পোশাক শিল্প। প্রথম লকডাউনে ইতালীর নাপলী শহরে বাংলাদেশী মালিকানাধী ছোট বড় অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী মাস্ক, পিপিই সেলাই করে কোন ভাবে টিকে থাকে। লক ডাউন সিথিল হওয়ার পর থেকে গার্মেনটস ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা নতুন ভাবে ঘুড়ে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখেন কিন্ত দ্বিতীয় লকডাউনের ধাক্কা যেন কোন ভাবে সামলাতে পারছেনা। ইতিমেধ্য অনেক ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে গেছ, শত—শত মানুষ কর্মহাড়া পরেছে। অথনৈতিক মন্দা বস্তা থেকে নিজেরা ও অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশীরাও যেন ঘুড়ে দাড়াতে পারে সে লক্ষে নাপলীর পালমা কাম্পানীয়া, সান জেননারো ও আশ পাশ এলাকার তরুন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়েছেন।
এলাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর ভেতর সভা আয়োজন করে তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেরদৌস উকিল এবং মাজহারুল হক জয় এর পরিচালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সানা উল্লাহ সানি।
আলোচনা সভায় একমত পোষন করেন যে তারা, নিজেরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে পাশাপাশি অন্যান্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও বিদেশে বিনিয়োগ করবে। এসব বিষয় সহ অন্যান্য বিষয়ের উপরও আলোচনা করা হয়। আলোচনা পর্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নূরুল ইসলাম, আসলাম তালুকদার, জাহাঙ্গীর ফরাজী, মনজুর হোসেন, রাসেদুজ্জামান, মোঃ কিররিয়া তালুকদার, মিরন পাটোয়ারী, মুকুল তালুকদার, ইমরান তালুকদার, তালুকদার, রানা সাইদ, সহ আরো অনেকে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, যুবকরাই দেশ জাতির ভবিষৎ এখানে যারা উপস্থিত হয়েছে তারা ইচ্ছে করলে এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যতা ধরে রাখতে পারলে অনেক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করা সম্ভব যা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
এ সময় অনেকে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিঠু, মো: আলী, নাসির সিকদার, জসিম, পাটোয়ারী, নূরুল হক, কবীর সহ আরো অনেকে।
সকলের মতের ভিত্তিতে নাপলী শহরটির মধ্যে প্রথম সমবায় কল্যাণ সমিতির মধ্যদিয়ে তারা তাদের অগ্রযাত্রা সূচনা করতে চায় এবং অচিরেই তা বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply