অব্যাহত পদ্মার ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে শিমুলিয়ার ৪টি ফেরী ঘাটের মধ্যে দুটি ঘাটই নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ২নং ফেরী ঘাট এলাকাসহ বিআইডব্লিউটিসিথর স্থাপনা। প্রথম দফা ভাঙনে বিলীন হয় ৩নং রোরো ঘাট ও দ্বিতীয় দফা ভাঙনে শনিবার ভোর রাত থেকে শুরু হয়ে সকাল পর্যন্ত ৪নং ঘাটটি নদীতে বিলীন হয়।
এদিকে অব্যাহতভাবে ফেরী ঘাটগুলো নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরী চলাচলে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার কর্মস্থলে ফেরা লক্ষাধিক মানুষ নানা দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অনেকেই যানবাহনসহ এ নৌ-রুট পাড়ি না দিতে পেরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট ব্যবহার করছে। এদিকে ২টি ঘাট ভাঙনের কবলে পড়ায় মাত্র দুটি ঘাট দিয়েই ফেরী চলাচল করছে। এসব কারণে একবার ফেরী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে চলে গেলে ৫ থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে কোন ফেরী পাওয়া যায়না শিমুলিয়া ঘাটে।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ সামাল দেওয়ার জন্য এ নৌ-রুটে ৮৭টি লঞ্চ, প্রায় তিন শতাধিক সি-বোট ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ১২টি কোম্পানির প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও কিছুতেই কমছেনা যাত্রীদের চাপ। এ সুযোগে লঞ্চ মালিক, বাস মালিক ও শ্রমিকরা করোনাকালীন সময়েও গাদাগাদি ও ঠাসাঠাসি করে যাত্রী বহন করছে। এর ফলে চরমভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিইটিএথর সহকারী প্রকৌশলী আবু দাউদ জানান, ভাঙন রোধের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। ভাঙন রোধে প্রতিদিনই সাড়ে তিনশ কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বস্তা ফেলা হচ্ছে ভাঙন কবলিত ঘাটগুলোতে। বিআইডব্লিউটিসিথর ম্যানেজার সাফায়েত আহম্মেদ জানান, বর্তমানে ৩টি রোরো, ৩টি কেটাইপ ও ২টি ছোটসহ মোট ৮টি ফেরী চলাচল করছে।
Leave a Reply